অনলাইন ডেস্ক: তিনদিনের জার্মানি সফর সম্পর্কে জাতিকে অবহিত করতে সংবাদ সম্মেলন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ (শুক্রবার) সকাল ১০টা ৩৩মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটাই ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম সরকারি সফর। তিনদিনের এ সফরে ১৫ ফেব্রুয়ারি মিউনিখে যান তিনি। প্রধানমন্ত্রী মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। পাশাপাশি বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজ, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুতে, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ, কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি ও ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটি ফ্রেডরিকসেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। এ সফরে বিভিন্ন আলোচনায় শেখ হাসিনা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ এবং গাজায় হামলা বন্ধের আহ্বান জানান।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর, যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এবং জার্মান ফেডারেল অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়নমন্ত্রী সভেনজা শুলজেও বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আন্তঃবাণিজ্যে বাংলাদেশ ও ভারতীয় মুদ্রা টাকা ও রুপি ব্যবহারের ওপর জোর দেন।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেন উইমেন পলিটিক্যাল লিডারের (ডব্লিউপিএল) প্রেসিডেন্ট সিলভানা কোচ-মেহরিন, বিশ্বব্যাংকের ডেভেলপমেন্ট পলিসি অ্যান্ড পার্টনারশিপের সিনিয়র ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাডহানম গেব্রেইসুস, মেটার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের প্রেসিডেন্ট ও যুক্তরাজ্যের সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী ড. স্যার নিক ক্লেগ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে ‘ফ্রম পকেট টু প্লানেট: স্কেলিং আপ ক্লাইমেট ফাইন্যান্স’ শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন। সেখানে তিনি ছয়টি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য জলবায়ু অর্থায়ন ছাড় করতে এবং অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করে সে অর্থ জলবায়ু তহবিলে জমা দিতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী মিউনিখের বার্গারহাউজ গার্চিং হোটেলে জার্মানি ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের দেয়া সংবর্ধনায়ও যোগ দেন। মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন ২০২৪-এ যোগদান শেষে ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশে ফেরেন তিনি।