সর্বজনীন পেনশনের আওতায় এক লাখ মানুষ
সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি (স্কিম) চালু হওয়ার সাড়ে নয় মাসের মধ্যে এক লাখ মানুষ নিবন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত হয়েছেন। এতে সরকারি ফান্ডে জমা হয়েছে ৪২ কোটি টাকা।
সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গত ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত পেনশন স্কিমে যুক্ত ছিলেন ৫৪ হাজার ৬৪৭ জন। এর মাত্র ১৩ দিনের মাথায় যা লাখ ছাড়িয়ে গেল।
প্রবাস স্কিম, প্রগতি স্কিম, সুরক্ষা স্কিম এবং সমতা স্কিম— এ চার স্কিম নিয়ে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছে সরকার। পেনশন বিধিমালা বলছে, সর্বজনীন পেনশন প্রথায় যার যত টাকা জমা, মেয়াদ শেষে তার তত বেশি পেনশন।
অন্যদিকে স্বল্প আয়ের মানুষদেরও বিমুখ করবে না এ উদ্যোগ। যারা মাসিক ৫০০ টাকা জমাবেন, তাদের জন্য শুরু থেকেই থাকবে সরকারের আরও ৫০০ টাকার ভর্তুকি। সবমিলিয়ে, সবার জন্যই থাকছে নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে বাড়তি কয়েকগুণ মুনাফা।
আর পেনশনের জন্য নির্ধারিত চাঁদা বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য করে কর রেয়াত পাওয়ার যোগ্য হবেন নিবন্ধনকারীরা। এছাড়া, মাসিক পেনশন বাবদ প্রাপ্ত অর্থ আয়কর মুক্ত হিসাবে ২০২৩ সালের ৮ নভেম্বর ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
বহুল প্রতীক্ষিত সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি (স্কিম) ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট সকালে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই সবার জন্য সার্বজনীন পেনশন কর্মসূচি উন্মুক্ত করা হয়।