আলোচিত সেই শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফ সাময়িক বরখাস্ত
সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীকে গুলি করার ঘটনায় অভিযুক্ত কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব দূর-রে শাহওয়াজ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
আদেশে উল্লেখ করা হয়, ডা. মো. রায়হান শরীফ (২১৩৮৯২), প্রভাষক (কমিউনিটি মেডিসিন), শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ, সিরাজগঞ্জ ফৌজদারি অপরাধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ায় রায়হান শরীফকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। বরখাস্তকালীন রায়হান শরীফ বিধি মোতাবেক খোরপোষ ভাতাপ্রাপ্ত হবেন। জনস্বার্থে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
জানা যায়, সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ আরাফাত আমিন তমাল বগুড়া সদর উপজেলার নাটাইপাড়া ধানসিঁড়ি মহল্লার অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আব্দুল্লাহ আল আমিনের ছেলে। অপরদিকে, বিসিএস ৩৯তম ব্যাচের চিকিৎসক মেডিকেল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক রায়হান শরীফ সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
গত সোমবার (৪ মার্চ) সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করায় স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজকে আহ্বায়ক করে তদন্ত কমিটি গঠন করেন উপসচিব দূর-রে শাহওয়াজ। এ কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন, স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিন মাতুব্বর এবং স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।
প্রসঙ্গত, ঘটনার পরে রায়হান শরীফের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। বিচারক বিল্লাল হোসেন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করে তাকে কারাগারে পাঠান। গ্রেফতারের পর শফিকের কাছ থেকে সেভেন পয়েন্ট ফাইভ সিক্স বোরের দুটি বিদেশি পিস্তল, ৮১টি গুলি, চারটি ম্যাগজিন ও ১২টি বিদেশি চাকু জব্দ করা হয়। তবে রায়হান শরীফ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ায় রিমাণ্ড মঞ্জুর করা হয়নি।