মানসিক চাপ মৃত্যুর কারণও হতে পারে
মানসিক চাপ শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে। এর কারণে মারাত্মক স্বাস্থ্যহানী ঘটে। স্ট্রেসের কারণে বিভিন্ন রোগের উৎপত্তি হয়।এমনকী বহু বড় রোগের কারণও মানসিক চাপ।
আসুন জেনে নেয়া যাক, কতোটা ক্ষতিকারক স্ট্রেস-
দীর্ঘমেয়াদী স্ট্রেসের কারণে রক্তচাপ বেড়ে যা। হার্ট বিটও বেড়ে যায়। উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের মতো হার্ট-সম্পর্কিত রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। জনস হপকিন্স মেডিসিনের মতে, স্ট্রেস হার্ট বিট দ্রুত হওয়ার কারণ হতে পারে, যাকে টাকাইকার্ডিয়া বলা হয়।
টাকাইকার্ডিয়া স্বাভাবিক হার্টের ক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে পারে এবং হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। এ ছাড়া অনেক সময় মানসিক চাপ অতিরিক্ত খাওয়া বা ধূমপানের মতো অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসকেও উৎসাহিত করে, যা হৃৎপিণ্ডের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে।
খুব বেশি মানসিক চাপ নিলে তা মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে স্মৃতিশক্তি কমে যেতে পারে। আসলে স্ট্রেস কর্টিসলের মতো হরমোনকে ট্রিগার করে। এটি একটি স্ট্রেস হরমোন, যা আমাদের জ্ঞানীয় ক্রিয়ার ক্ষতি করে। স্ট্রেসের কারণে মনযোগ দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে । স্ট্রেস এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন করে তোলে।
মানসিক চাপের কারণে নার্ভাসনেস শুরু হয় যার ফলে পেটে ব্যথা অনুভূত হয়। কারণ পেটের সঙ্গে স্ট্রেসের সম্পর্কও রয়েছে। এটি হজমে ব্যাঘাত ঘটায় এবং পেট খারাপ হতে পারে। স্ট্রেস পেট খারাপ, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং জ্বালাময়ী অন্ত্র সিনড্রোমের মতো গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
স্ট্রেসের কারণে ঘাড়,কাঁধ এবং পিঠ শক্ত হয়ে যায় । স্ট্রেসের কারণে ঘাড়, কাঁধে যন্ত্রণাও অনুভূত হয়। পেশি শক্ত হয়ে যায়। ও জয়েন্ট পেইনও দেখা যায়। অত্যধিক মানসিক চাপের কারণে ব্রণ, একজিমা, সোরিয়াসিস এবং রোসেসিয়ার মতো ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এটি ত্বকের নিরাময় প্রক্রিয়াটিও ধীর করতে পারে, যা ক্ষত নিরাময়ে বিলম্ব করতে পারে এবং ত্বকের বিদ্যমান সমস্যাগুলিকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।