স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

সজনে পাতায় জাদুকরী ওষুধি গুণ

সজনে গাছের পাতাকে বলা হয় অলৌকিক পাতা। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে পুষ্টিকর হার্ব। গবেষকরা সজনে পাতাকে বলে থাকেন নিউট্রিশন্স সুপার ফুড এবং এই গাছকে বলা হয় ‘মিরাকল ট্রি’। এই পাতার নানা গুণাগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এমনকি লেবু থেকে সাত গুন বেশি ভিটামিন-সি রয়েছে এতে। সজনে পাতায় ডিম থেকে প্রায় দুই গুন বেশি প্রোটিন রয়েছে এবং দুধের চেয়ে চার গুন বেশি ক্যালসিয়াম আছে।

সজনে পাতা বিভিন্নভাবে খাওয়া যেতে পারে, যেমন ভাজা, রান্না, বড়া, ভর্তা ও শুকিয়ে গুঁড়া করে। তেল-রসুন দিয়ে রান্না সজিনে খেতে শুধু সুস্বাদুই নয়, পুষ্টিকরও। নিয়মিত সজনে পাতা বা মরিঙ্গা খাওয়ার ফলে আমরা আমাদের দেহকে করতে পারি সুস্থ, সবল ও সতেজ। কারণ এটি মানবদেহের জন্য দারুণ উপকারী। প্রায় ৩০০ রকম অসুখের চিকিৎসা হয় এই গাছ দিয়ে। তাই এটিকে ‘সুপার ফুড’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

চলুন, জেনে নেই সজিনার উপকারিতা সম্পর্কে:

১. পুষ্টির ভাণ্ডার: সজিনাতে আছে ভিটামিন, প্রোটিন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি আয়রনও আছে।

২. এন্টিঅক্সিডেন্টের খনি: সজিনা পাতায় বিদ্যমান এন্টিঅক্সিডেন্ট ক্যানসার সৃষ্টিতে বাধা দেয়। সজিনার ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড রক্তের চাপ ও শর্করা কমাতে কাজে দেয়।

৩. ডায়েবেটিস প্রতিরোধক: এতে আইসোথিয়োকাইনেটস নামের উপাদান আছে যা ডায়াবেটিস কমায়। প্রতিদিন মাত্র ৫০ গ্রাম সজিনার পাতা খেয়ে ডায়াবেটিস ২১ শতাংশ কমানো সম্ভব।

৪. তেলেসমাতি: সজিনার বীজের তৈরি তেল সত্যিই উপকারী। দীর্ঘদিনের লিভারের রোগীর জন্য এ তেল খুব উপকারী। সজিনা গ্রহণে খাদ্যের গুণগত মান অটুট থাকে। পচনশীল খাবারকে দীর্ঘস্থায়ীত্ব দেয়। বাতের ব্যথা-বেদনায় ব্যবহার করা যায়, তেমনি শীতের আর্দ্রতা থেকে ত্বককে রক্ষা করা, রূপচর্চাতেও এই তেল কাজে লাগে।

৫. কোলেস্টেরল কিলার: ঘাতক কোলেস্টেরলকে হত্যা করে সজিনা আপনার হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখে। থাইল্যান্ডে বহু বছর ধরে সজিনাকে হৃদরোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ৩ মাসের ব্যবহারে এটি কোলেস্টেরল লেভেল কমিয়ে দেয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button