লাইফস্টাইল

ইফতারের পর যেসব পানীয় পান করা উচিত

রোজার রাখলে পানি কম পান করা হয় অনেকেরই। এর জন্য শরীরে দেখা দিতে পারে পানিশূন্যতা। আর্দ্রতা ধরে রাখার একমাত্র উপায় বেশি বেশি পানি পান করা। সাধারণ সময়ে যে পরিমাণ পানি বা খাবার আমরা গ্রহণ করি, রোজায় তার থেকে কম খাওয়া হয়।

তাই ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত পানি ও পানীয় গ্রহণের পাশাপাশি পানি জাতীয় সবজিও খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে। এতে সারাদিন শরীর হাইড্রেটেড থাকবে।

ইফতারে যে ধরনের পানীয় শরীরের জন্য উপকারী :

পানি : স্বাস্থ্যকর পানীয়র মধ্যে প্রথমেই থাকবে পানি। এতে চিনি, লবণ বা অন্যকিছু মিক্স না করাই ভালো। ইফতারের শুরুতেই শুধু সাদা পানি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং স্বাস্থ্যসম্মত পানীয়।

লেবু পানি : পানি ও লেবুর সঙ্গে এক চিমটি পরিমাণ লবণ, বিট লবণ বা পিংক সল্ট মিশিয়ে পান করতে পারেন। চিনি দেওয়া যাবে না। এই লেবু পানি চমৎকারভাবে শরীরের ইলেক্ট্রোলাইট ব্যালান্স করতে সাহায্য করবে।

বেলের শরবত : শরীর বেশি ডিহাইড্রেটেড হয়ে গেলে বেলের শরবত খেতে পারেন। বেল যদি মিষ্টি না হয় তখন প্রয়োজনে চিনির বিকল্প উপাদান মিছরি, যষ্টিমধু, খেজুরের পাউডার, গুড় ইত্যাদি দিয়ে শরবত তৈরি করা যেতে পারে।

আখের গুড়ের শরবত : পানির সঙ্গে আখের গুড় আর একটু লবণ মিশিয়ে শরবত তৈরি করা হলে এটি স্যালাইনের কাজ করে এবং রক্তের ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স করতে সাহায্য করে।

ডাবের পানি : রোজার সময় দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থেকে কাজ করার ফলে ঘাম হয়। ফলে ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালান্স হয়। ডাবের পানি প্রাকৃতিকভাবে মিনারেলস সমৃদ্ধ পানীয়। ইফতারে এক গ্লাস ডাবের পানি খেলে শরীরের ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স হবে।

ফলের রস: যেকোনো সতেজ ফলের জুস তৈরি করে খেতে পারেন। ফলের রস অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ এবং ভিটামিন ও মিনারেলসে ভরপুর। এই ফলের রসের মধ্যে ইসবগুল, তোকমা, চিয়াসিড যোগ করে খাওয়া হলে তখন সেটি ফাইবার সমৃদ্ধ পানীয় হবে। এ ধরনের পানীয় শরীরকে দীর্ঘক্ষণ হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।

মিল্কশেক : দুধ দিয়ে তৈরি করা যেকোনো শেক ইফতারে খেতে পারেন। এতে মেশাতে পারেন খেজুর, বাদাম, পেঁপে বা পছন্দের যেকোনো ফল।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button