ঈদের আগে অন্যান্য বছর প্রবাসী আয়ে সুবাতাস বইলেও এবার ঘটেছে উল্টো চিত্র। কমে গেছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।
সোমবার (১ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
সদ্যবিদায়ী মার্চে বৈধপথে প্রায় দুই বিলিয়ন (১ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার (প্রতি এক ডলার সমান ১১০ টাকা ধরে) পরিমাণ প্রায় ২১ হাজার ৯৬৫ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী— আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১ দশমিক ২৩ শতাংশ কমে ১ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে প্রবাসী আয়।
সাধারণত ঈদকে উপলক্ষে করে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ে, কিন্তু এ বছর ঈদের আগের মাস মার্চে প্রবাসী আয় কমেছে। এর কারণ হিসেবে অবৈধ চ্যানেল বা হুন্ডিকেই দুষছেন সংশ্লিষ্টরা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মার্চে যে রেমিট্যান্স এসেছে তা আগের মাসের তুলনায় ৭ দশমিক ৭১ শতাংশ কম। ফেব্রুয়ারি মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, মার্চে বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার এসেছে। এরমধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৬ কোটি ১৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার বা ২ হাজার ৮৭৯ কোটি টাকা। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৫২ লাখ ৭ হাজার মার্কিন ডলার বা ৩৮৭ কোটি টাকার বেশি এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ২৩ থেকে ২৯ মার্চ দেশে এসেছে ৪০ কোটি ৬ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। মার্চের ১৬ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছে ৩৯ কোটি ৫৪ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। ৯ থেকে ১৫ মার্চ দেশে এসেছে ৫০ কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া ১ থেকে ৮ মার্চ এসেছে ৫১ কোটি ২৯ লাখ ১০ হাজার ডলার।
আর গত ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে এসেছে ২১৬ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। যা চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ।