লাইফস্টাইল

চুল বৃদ্ধি নিয়ে চুলচেরা তথ্য

মানুষের ত্বকের বহির্ভাগে কেরাটিনে তৈরি সরু এবং লম্বা প্রোটিন অঙ্গ থাকে। সহজ ভাষায় আমরা একে ‘চুল’ নামে চিনি। মানুষের অভ্যন্তরীণ শরীরের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত না থাকলেও বা প্রভাব না ফেললেও বাহ্যিকভাবে চুল মানুষের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বাহ্যিক সৌন্দর্য্য নির্ভর করে চুলের উপরেই, বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে।

কথায় বলে, চুলেই নাকি নারীর আসল সৌন্দর্য্য। এই কারণেই চুল বড় হওয়া নিয়ে নারীদের উদ্বিগ্ন থাকতে দেখা যায়। চুলের যতেœ থাকে বিশেষ সতর্কতা। নানারকম প্রসাধনী সামগ্রী বয্বহার করা ছাড়াও প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা, চিকিকৎসকের পরামর্শ নেওয়া, এমনকি প্রয়োজনে আধুনিক চিকিৎসা গ্রহণ করতেও দেখো যায়।

তবে চুল বৃদ্ধিতে শুধু এসব পদ্ধতি অবলম্বন করা যথেষ্ট নয়। কারণ, অভ্যন্তরীণ অনেক কিছুও চুলের বৃদ্ধির সাথে সম্পর্কিত। জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে-

জীন: চুলের ধরনে সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করে মানুষের শরীরের জীন। বাবা-মা’য়ের থেকে সরাসরি জিন আসার কারণে অন্যান্য বৈশিষ্ট্যসহ চুলও তাদের মতোই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই চুলের দৈর্ঘ্য, ঘনত্ব, রঙ, দৃঢ়তা অনেক কিছুই জীনের উপর নির্ভরশীল।

হরমোন: শরীরের প্রতিটি কাজকেই প্রভাবিত করে হরমোন। নারী-পুরুষ ভেদে চুলের বৃদ্ধির তারতম্য দেখা যায় এই হরমোনের কারণেই। ইস্ট্রোজেন আর প্রোজেস্টেরনের উপরে নারীদের চুলের বৃদ্ধির গতি, ঝরে পড়া, অস্বাভাবিকতা নির্ভর করে।

বয়স: বয়স বাড়ার সাথে সাথে চুল বাড়ার হার কমতে থাকে। বরঞ্চ চুলের দৃঢ়তা কমে যাওয়া এমনকি চুল ঝরার সমস্যাও দেখা যায়। বিশেষ করে ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়স হওয়ার পর থেকে প্রায় সকলেই এইসব সমস্যার সম্মুখীন হন।

পুষ্টি: মানুষের শরীরের পুষ্টি উপাদানের সরাসরি প্রভাব পরে চুলের বৃদ্ধিতে। চুল পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি না পেলে বৃদ্ধি ধীর হয়ে যায়, এমনকি চুল পড়তেও শুরু করে। স্বাস্থ্য সম্মত খাবার খেলে চুলের প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ সরবরাহ হয়। এজন্য শর্করা এবং আমিষ জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে। আয়রন, জিংক, ফলিক অ্যাসিড, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি উপাদান চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। অ্যাভোকাডো, স্যালমন মাছ, শাকি এবং তাজা সবজি খেলে চুল ভালো থাকে।

তথ্যসূত্র: গোল্ডি লকস্

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button