স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

রোগ প্রতিরোধে কার্যকর কেওড়া

কেওড়া (ঝপৎবি ঢ়রহব) দ্রুত বর্ধনশীল গাছ। এর বৈজ্ঞানিক নাম চধহফধহঁং ঋধংপরপঁষধৎরং। এটি ঢ়ধহফধহধপবধব গোত্রের অন্তর্ভুক্ত। এর গড় উচ্চতা ২০ মিটার। এ গাছের পাতা চিকন, ফল আকারে ছোট ও গোলাকার , এই ফল টক বা অম্ল স্বাদের। এই ফলের বহিঃত্বক সাধারণত খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কেওড়া ফলে রয়েছে প্রায় ১২% শর্করা, ৪% আমিষ, ১.৫% ফ্যাট, প্রচুর ভিটামিন বিশেষত, ভিটামিন সি এবং এর ডেরিভেটিভগুলো। কেওড়া ফল পলিফেনল, ফ্লাভানয়েড, অ্যান্থোসায়ানিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও আনস্যাচুরেটেড ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড বিশেষ করে লিনোলিক অ্যাসিডে পরিপূর্ণ।

লবণাক্ত মাটিতে জন্ম নেয়া এই উদ্ভিদে শ্বাসমূল দেখা যায়। জোয়ার ভাটার পানিতে পুষ্ট সুন্দরবনে শ্বাসমূল এই গাছের বায়ুতে থাকা উপাদানগুলো গ্রহণ করতে সাহায্য করে। মিষ্টি পানিতে এলাকাতে এই গাছ জন্মে না বললেই চলে। কেওড়া গাছের পাতা ও ফল হরিণ ও বানরের প্রিয় খাবার। এই গাছের নিচে হরিণ ও বানরের দল বেশি দেখা যায়। এ গাছের কাঠ ঘরের বেড়া, দরজা-জানালা ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

ফাগুনে ফুল ফোটে ও চৈত্র- বৈশাখে ফল ধরে এবং আষাঢ়-শ্রাবণ ও ভাদ্র-আশ্বিন পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়। কেওড়া কিছুটা আমলকীর মতো দেখতে এবং খেতে টক। কেওড়াতে আছে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’। কেওড়া ফল রক্তে কোলেস্টেরল কমায়। কেওড়া ফলের রান্না খাট্টা (কেওড়া ফলের স্যুপ) চিংড়ি মাছ দিয়ে করলে খুব সুস্বাদু হয়। কেওড়া ফল বাংলাদেশে জন্মায়। কেওড়া ফল শরীর ও মনকে সতেজ রাখার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে খুবই কার্যকরী।

উপকারিতা:

১. নিয়মিত কেওড়া ফল খেলে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি (ফ্যাট) কমে।
২. কেওড়ায় রয়েছে কিছু এনজাইম। যা শরীরের হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
৩. কেওড়া ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৪. কেওড়া গাছের ফল ও পাতা একসাথে পিষে লাগালে চুলকানি দ্রুত ভালো হয়।
৫. কেওড়া গাছের ফল ও পাতা একসাথে পিষে লাগালে ঘা- পাঁচড়া ভালো হয়।
৬. কেওড়া ফল খেলে পাকস্থলীর অ্যাসিডিটি কমে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button