Sunday, May 12, 2024
Google search engine
Homeবিশ্বমিয়ানমার পরিস্থিতি বাংলাদেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে

মিয়ানমার পরিস্থিতি বাংলাদেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারে চলমান পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ ও ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে একটা যৌথ উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এসব কথা বলেন।

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশটির একটি থিংট্যাংকের আলোচনায় বলেছেন, যে পরিস্থিতি এখন মিয়ানমারে আছে, এই পরিস্থিতির কারণে বিশেষ করে রাখাইনের সঙ্গে যে যুদ্ধ চলছে, সে কারণে বাংলাদেশের নিরাপত্তা, এমনকি বাংলাদেশ-ভারত দুটি দেশেরই নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। এ ব্যাপারে আমাদের আরও পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। আন্তর্জাতিক যেসব গোষ্ঠী আছে, যারা এখানে আছেন, বিশেষ করে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন—এদের কাছে বিষয়টা উপস্থাপন করা উচিত।

তিনি বলেন, এখানে যেটা দেখা যাচ্ছে, রাখাইনরা তাদের যুদ্ধ আমাদের সীমান্তের ওপর ফোকাস করেছে। এটার একটা কারণ হলো, সীমান্তে যে চৌকিগুলো আছে, এগুলো বিচ্ছিন্নভাবে আছে। খুব সহজে তারা দখল করতে পারে। আরেকটা জিনিস হচ্ছে, তাদের এই যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশ যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বাংলাদেশ যদি এর সঙ্গে জড়িয়ে যায়, সেখানে রাখাইনরা এটার একটা অ্যাডভানটেজ নেওয়ার চেষ্টা করবে।

তিনি আরও বলেন, এখানে অনেক রকম দুরভিসন্ধি আছে। তখনকার কিছু ঘটনায় আমরা দেখেছি, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাকিস্তানি নাগরিকরাও বেশ অ্যাকটিভ ছিল এবং দুই-তিন জন ধরাও পড়েছিল।

বিরোধী দলীয় উপনেতা বলেন, কক্সবাজার ও মিয়ানমার পাশাপাশি এবং ১২ লাখ রোহিঙ্গা বর্তমানে আমাদের এখানে আছে। সেখানে কিছু সন্ত্রাস হচ্ছে, জঙ্গিবাদের উত্থান হচ্ছে। এগুলো পরবর্তী সময়ে আমাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে পারে। যেটা ডোলান্ড লু তার বক্তব্যে বলেছেন। তাই এই ব্যাপারটা নিয়ে চারটি দেশের বসা দরকার। এখানে ভারত ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কারণ ভারতেরও নিরাপত্তা, বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব ভারতে এটার একটা ইমপ্যাক্ট হতে পারে। সুতরাং, বিষয়গুলো দেখার জন্য ভারত, বাংলাদেশ, মিয়ানমার, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটা যৌথ উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

নতুনবার্তা/সো হা

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments