মোদির সঙ্গে সেলফি তোলা কে এই নাজিম?
জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পর প্রথমবার ভূস্বর্গে পা রাখলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে বক্সি স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সভা করেন মোদি।
শ্রীনগরের এই সভার পরই তিনি এক কাশ্মীরি যুবকের সঙ্গে তোলা সেলফি পোস্ট করেন তার এক্স প্রোফাইলে। মোদী সেই পোস্টে লেখেন, ‘একটা স্মরণীয় সেলফি আমার বন্ধু নাজিমের সঙ্গে।
এখন মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কাশ্মীরের এই যুবক আসলে কে?
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, শ্রীনগরে বৃহস্পতি মোদি ‘বিকশিত ভারত’ প্রকল্পের উপভোক্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। শ্রীনগরের বক্সি স্টেডিয়ামের সভায় আয়োজিত হয়েছিল এই অনুষ্ঠান।
সেখানেই হাজির ছিলেন কাশ্মীরের পুলওয়ামা থেকে আসা নাজিম। নাজিম মোদিকে অনুরোধ করেন, যাতে নাজিমের সঙ্গে তিনি একটি সেলফি তোলেন। কাশ্মীরের ওই যুবকের অনুরোধ ফেলতে পারেননি মোদি। তারপরই নিজের হ্যান্ডেলে নজিমের সাথে তোলা ছবিটি পোস্ট করেন মোদি।
নরেন্দ্র মোদি ওই পোস্টে লেখেন, ‘স্মরণীয় একটি সেলফি আমার বন্ধু নাজিমের সঙ্গে। যে ভালো কাজ সে করছে, আমি তাতে মুগ্ধ। একটি জনসভায় তিনি সেলফির জন্য অনুরোধ করেন। তার সঙ্গে দেখা করে আমি খুশি। তাকে আগামীর জন্য অনেক শুভেচ্ছা।’
২০১৯ সালে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার ঘটনার গোটা দেশ ছিল শোকে মুহ্যমান। তারপরই পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটি টার্গেট করে ভারত চালিয়েছিল সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ২.০। সেই ঘটনা ঘিরে এক সময় তপ্ত হয়েছে কাশ্মীরের পরিস্থিতি। সেই অধ্যায় কাটিয়ে এবার খবরে কাশ্মীরের পুলওয়ামার নাজিম।
মূলত কেন্দ্রের ‘বিকশিত ভারত’ প্রকল্পের উপভোক্তা নাজিম। কাশ্মীরের মধু শিল্পের সঙ্গে তিনি জড়িত। শিল্পোদ্যোগ নিয়ে তিনি কাশ্মীরের মধু শিল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চান।
দশম শ্রেণিতে পড়াকালে নজিম এই উদ্যোগ শুরু করেছিলেন। পরে তা ধীরে ধীরে কলেবর বাড়িয়ে নেয়। ২০১৮ সাল থেকে শুরু করা নাজিমের এই উদ্যোগ আজও চলছে জোরকদমে।
মোদির সঙ্গে তার মধু শিল্পের বিষয়ে আলোচনায় নাজিম জানান, প্রথমে ছাদের মাথায় দুটি মৌমাছির চাক বক্সে করে রেখে তিনি শুরু করেছিলেন ব্যবসায়িক পথচলা। ৭৫ কেজি মধু থেকে তিনি আয় করেছিলেন ৬০ হাজার টাকা। মধু তিনি গ্রামে বিক্রি করেছিলেন সেবার।
নাজিম বলেন, ২৫টি মৌমাছির বক্সের জন্য তিনি সরকার থেকে ৫০ শতাংশ ভর্তুকি পেয়েছিলেন। সেই পরিসর বেড়ে এখন ২০০ টি মৌমাছির বক্স রয়েছে নাজিমের।
৫ লাখ টাকা তার হাতে এই ব্যবসা থেকে আসতেই ২০২০ সালে নিজের কাজ নিয়ে একটি ওয়েবসাইটও খোলেন নাজিম। কাশ্মীরি যুবকের এই উদ্যোগের আওতায় বর্তমানে ১০০ জন কর্মরত।