হোটেল ও রেস্তোরাঁ হয়রানিমূলক এলোমেলো অভিযান না করে আইন অনুযায়ী অভিযান করতে বলেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে আইন অনুযায়ী যারা রেস্তোরাঁ পরিচালনা করছে তাদের হয়রানি করা কেন অবৈধ নয় তা জানতে চেয়েও রুল জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
গত ১১ মার্চ হোটেল ও রেস্তোরাঁ হয়রানিমূলক অভিযান বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন হোটেল ও রেস্টুরেন্টে মালিকরা। এর আগে, ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন রেস্তোঁরায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এসব অভিযানে ৮৭২ জনকে গ্রেফতার এবং ২০টি মামলা করা হয়েছে। ৮৮৭টি ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
বেইলি রোডের ঘটনার পর ধানমণ্ডি, খিলগাঁও, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় একই রকম অনিরাপদ পরিবেশে ভবনজুড়ে রেস্তোরাঁ গড়ে তোলার বিষয় নিয়ে আলোচনায় ওঠে।
এসব অভিযানে আবাসিক ভবনে নিয়মের বাইরে গিয়ে বানানো রোস্তোরাঁগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে এসব অভিযানে। কোথাও কোথাও গ্রেফতার ও জরিমানা করা হচ্ছে। রাস্তার পাশে ছোট খাবারের দোকান থেকেও অনেককে আটক করছে পুলিশ।
ঢাকার বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় চালানো এসব অভিযানকে ‘হয়রানি’ বলছে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি।
এ বিষয়ে ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগর এলাকার হোটেল-রেস্তোঁরা, ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান ও রাসায়নিকের গুদামে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।