এমভি আবদুল্লাহর জিম্মিদের উদ্ধারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বৈঠক আজ
আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুর কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও এতে থাকা ২৩ নাবিককে উদ্ধারে কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতে বৈঠক ডেকেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সিনিয়র সহকারী সচিব (আফ্রিকা) মো. ইফতেখার রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
চিঠিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সকাল ১১টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করবেন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব) মো. খুরশিদ আলম। বৈঠকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও এজেন্সি কর্তৃপক্ষকে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।
বৈঠকের উদ্দেশ্য সম্পর্কে চিঠিতে বলা হয়েছে, সোমালি জলদস্যুদের কবজায় থাকা জাহাজ ও ক্রুদের নিরাপদে উদ্ধারে কর্মকৌশল ঠিক করতেই এ বৈঠক।
এর আগে, কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আমিন শরীফের ছেলে জাহাজের নূর উদ্দিনের (জিএস) পাঠানো এক অডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘কারও সাথে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। পাইরেটসরা আমাদের মোবাইলসহ সব যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে যাচ্ছে। এখানে টাকা না দিলে, আমাদেরকে একজন-একজন করে সবাইকে মেরে ফেলবে বলতেছে। এদেরকে যত তাড়াতাড়ি টাকা দিবে, তত তাড়াতাড়ি ছাড়ি দিবে বলছে। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
তথ্যমতে, মঙ্গলবার (১২ মার্চ) কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়েছে। জলদস্যুরা মুক্তিপণের দাবিতে জাহাজ ও ক্রুদের জিম্মি করে রেখেছে।
বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে সমুদ্র উপকূল থেকে ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে জাহাজটির অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে।
জিম্মিদের মধ্যে রয়েছেন-কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আমিন শরীফের ছেলে নূর উদ্দিন (জিএস), আনোয়ারার বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর বন্দর এলাকার মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে মোহাম্মদ সামসুদ্দিন শিমুল (ওয়েলার), একই এলাকার গাজু মিয়ার ছেলে সাজ্জাদ হোসেন (এবি), বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর বন্দর মেরিন একাডেমি এলাকার মোহাম্মদ আখতার হোসেনের ছেলে আসিফুর রহমান (এবি)। তিনি ৫ মাস আগে চাকরিতে যোগদান করেছেন।