চট্টগ্রামের সাগরিকায় তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শ্রীলংকার মুখোমুখি বাংলাদেশ। ম্যাচটিতে উড়ন্ত শুরুর পর মাঝপথে খেই হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। তবে তাওহীদ হৃদয়ের ‘হৃদয়’ জুড়ানো ইনিংসে সফরকারীদের সামনে বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের হয়ে সর্বোচ্চ ৯৬ রানের ইনিংস উপহার দেন তাওহীদ হৃদয়।
বাংলাদেশের হয়ে যথারীতি ইনিংস উদ্বোধনে নামেন সৌম্য সরকার ও লিটন দাস। তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই এ জুটিতে আঘাত হানেন দিলশান মাদুশাঙ্কা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই লিটনকে (০) ওয়েল্লালাগের তালুবন্দী করেন দিলশান। এতে শূন্য রানেই সাজঘরে ফেরেন টাইগার ওপেনার।
এরপর ক্রিজে আসেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তার সঙ্গে ৭৫ রানের জুটি গড়েন সৌম্য। তবে শান্তর (৪০) বিদায়ে ভেঙে যায় এ জুটি।
পরে বাইশ গজে আসেন তাওহীদ হৃদয়। তাকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় রানের চাকা সচল রাখেন সৌম্য। সেইসঙ্গে ব্যক্তিগত ফিফটি পূরণ করেন সৌম্য। ম্যাচের ২২তম ওভারে সৌম্য (৬৮) ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে (০) সাজঘরের পথ দেখান হাসারাঙ্গা।
এরপর উইকেটে আসেন মুশফিক। তার সঙ্গে ৪৩ রানের জুটি গড়েন হৃদয়। কিন্তু হাসারাঙ্গার আঘাতে সাজঘরে ফেরেন মুশফিক (২৫)। পরে ক্রিজে এসেই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলেন মিরাজ। তবে হাসারাঙ্গার ঘূর্ণিতে কাটা পড়েন তিনি। এতে আউট হওয়ার আগে ১৮ বলে ১২ করেন এ ব্যাটার।
অন্যপ্রান্তে ব্যাট হাতে একাই লড়াই চালিয়ে যান হৃদয়। এ সময় অবশ্য তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন সাকিব (১৮)। পরে ব্যাট হাতে ক্যামিও ইনিংস উপহার দেন তাসকিন। শেষ পর্যন্ত ৯৬ রানে হৃদয় ও ১৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তাসকিন।