দেশের তিনটি বড় রাজনৈতিক দলের মধ্যে আওয়ামী লীগের পরেই রয়েছে বিএনপি ও জাতীয় পার্টি। সদ্য অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। দীর্ঘদিন রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে থাকায় নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে জাতীয় পার্টি ও বিএনপিতে।
রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জাতীয় পার্টির চেয়েও খারাপ অবস্থা এখন অবশ্য বিএনপির। যদিও বিএনপির একটি জনপ্রিয়তা রয়েছে। জনগণের মধ্যে বিএনপির একটা সমর্থন রয়েছে। জাতীয় পার্টির সঙ্গে বিএনপির মৌলিক পার্থক্য হলো- জাতীয় পার্টিকে জনগণ পছন্দ করে না, জনগণের মাঝে তাদের কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই।
আর অন্যদিকে বিএনপির অবস্থা তার উল্টো। বিএনপির যারা কর্মী-সমর্থক, তারা সবকিছুর পরও বিএনপির প্রতি তাদের সমর্থন এবং সহানুভূতি অব্যাহত রেখেছেন। কিন্তু সমর্থক থাকলে কি হবে, নেতৃত্বের ব্যর্থতা, অধিকাংশ নেতার উদাসীনভাবের জন্য জাতীয় পার্টির মতো বিএনপিও এখন অস্তিত্ব সংকটে আছে।
জাতীয় পার্টি এখন রীতিমতো কোমায় চলে গেছে মন্তব্য করে তারা আরো বলেন, গত ২ মাসে অর্থাৎ ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর থেকে এখন পর্যন্ত জাতীয় পার্টির কর্মকাণ্ড নেই বললেই চলে। এ সময় জাতীয় পার্টি কী ধরনের কাজ করেছে তা তাদের নেতারাই অনুধাবন করতে পারেন না এবং নেতাদের কাছে এ নিয়ে একধরনের হতাশা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সদ্য বিএনপির রাজনীতি ছেড়ে আসা এক নেতা বলেন, এক সময় মুসলিম লীগেরও অনেক কর্মী সমর্থক ছিল। বিএনপিকে যারা সমর্থন করে তারা কেউই বিএনপির পক্ষে না, তারা আসলে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত যদি বিএনপি রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে টিকে থাকতে না পারে, তাহলে এ সমর্থকরা অন্য কোথাও যাবে। আর একারণেই অনেকে মনে করেন, বিএনপির নেতৃত্বের সঠিক নির্দেশনা এখন জরুরি এবং এটি যদি বিএনপি না দিতে পারে তাহলে বিএনপির অস্তিত্বও কালের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।