রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কাঁকরোল
কাঁকরোল হল এক ধরনের ছোট সবজি, যা সাধারণত গ্রীষ্মকালে ফলে। প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁকরোলে ( ভোজন যোগ্য) থাকে প্রোটিন ৩.১ গ্রাম, চর্বি ১ গ্রাম, খনিজ পদার্থ ১.১ গ্রাম, শর্করা ৭.৭ গ্রাম, শক্তি ৫২ কিলো ক্যালরি, ক্যালসিয়াম ৩৩ মিগ্রা, ফসফরাস ৪২ মিগ্রা, আয়রন ৪.৬ মিগ্রা এবং ক্যারোটিন ১৬২০ মাইক্রো গ্রাম।
যেকোনো ভাইরাসের আক্রমণ আর নানা ধরনের অসুখ-বিসুখ তাড়াতে মৌসুমি ফল ও শাকসবজি খাওয়া প্রয়োজন। আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় সাধারণ অসুধ-বিসুখ দেখা দিতে পারে। তাই এসময় আপনার খাবারের তালিকায় স্বাস্থ্যকর কাঁকরোল অতি জরুরি।
ভাইরাস আক্রমণ ও রোগ-প্রতিরোধে কাঁকরোলের উপকারিতা জেনে নেয়া যাক:
১. আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন রোগ যেমন- ঠান্ডা, কাশি এবং অন্যান্য অ্যালার্জির সমস্যা নিরাময়ে কাঁকরোল বেশ কার্যকরী।
২. কাঁকরোলে থাকা ইনসুলিন রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। এ কারণে এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
৩. ভিটামিন সি-এর ভালো উৎস হওয়ায় কাঁকরোল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৪. কাঁকরোলে থাকা বিটা ক্যারোটিন, লুটেইন এবং জেক্সানথিন উপাদান ত্বকের সুরক্ষায় ভূমিকা রাখে। এতে থাকা অ্যান্টি-এজিং উপাদান ত্বকে তারুণ্য বজায় রাখে।
৫. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ কাঁকরোলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় এটি হজমে সহায়তা করে। সেই সঙ্গে এটি কোষ্ঠকাঠিন্যও কমায়।
৬. কাশি হলে তিন গ্রাম কাঁকরোল বাটা কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে দিনে তিনবার পান করুন, কাশি কমে যাবে।
৭. শ্বাসকষ্ট হলে ২৫০ থেকে ৫০০ মিলিগ্রাম কাঁকরোলের শেকড় বাটার সঙ্গে এক চা চামচ আদার রস ও এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে খান, আরাম পাবেন।
৮. কাঁকরোল ভিটামিন সি পরিপূর্ণ হওয়ায় প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্টরূপে কাজ করে। যা শরীরের টক্সিন দূর করে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
৯. কাঁকরোলে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট, পলিপেপটিড-পি ও উদ্ভিজ্জ ইনসুলিন আছে। যা ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণ করে যকৃৎ, পেশি ও শরীরের মেদবহুল অংশে গ্লাইকোজেন সংশ্লেষণ করে।
১০. কিডনিতে পাথর হলে ১০ গ্রাম কাঁকরোল বাটা এক গ্লাস দুধে মিশিয়ে খান। এভাবে প্রতিদিন পান করুন, উপকার পাবেন।