ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ছেলেকে জেলে পাঠানোর হুমকি দিয়ে মায়ের কাছে পুলিশ পরিচয়ে মুক্তিপণ দাবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে নাসিরনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন এক স্কুল শিক্ষিকা।
এ বিষয়ে স্কুল শিক্ষিকা মোছা. ছায়েমা আক্তার জানান, মঙ্গলবার সকালে আমার ফোনে অপরিচিত একটি নম্বর থেকে ফোন আসে। ফোনকারী ব্যাক্তি নিজেকে ধানমন্ডি থানার এসআই ফারুক হিসেবে দাবি করেন। তিনি বলেন আমার বড় ছেলে মো. আব্দুল মন্নান সামি তাদের কাছে মাদকসহ আটক আছে এবং ৩০ মিনিটের মধ্যে ৩০ হাজার টাকা বিকাশে না পাঠালে আমার ছেলেকে জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এসময় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় কিংবা কণ্ঠ নকল করে আমার ছেলের মত করে কেউ একজন কান্নাকাটি করে আমার সাথে কথা বলে। এতে আমি বিচলিত হয়ে দ্রুত থানায় যোগাযোগ করি। পথিমধ্যে আমার ছেলের ফোনে কল করলে জানতে পারি সে বাসায় নিরাপদে আছে। তার সাথে এ ব্যাপারে কারোর কোনো কথা বা দেখাও হয়নি। পরে নাসিরনগর থানার কর্তব্যরত পুলিশ এসআই তৌহিদুল ইসলাম হুমকিদাতার সাথে কথা বলে বিভিন্ন প্রশ্ন করলে সে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
জানা যায়, মোছা. ছায়েমা আক্তার উপজেলার গোকর্ণ সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজের ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক। তার বড় ছেলে মো. আব্দুল মন্নান সামি ঢাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সামির বাবা এম এ হান্নান নাসিরনগর উপজেলার বিএনপির বর্তমান সভাপতি।
নাসিরনগর থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক তৌহিদুল ইসলাম জানান, ঐ স্কুল শিক্ষিকা পরিবারের লোকদের নিয়ে থানায় আসলে আমি তাকে হুমকি দেওয়া ব্যক্তিটির সাথে কথা বলি। সে নিজেকে ধানমন্ডি থানার এসআই ফারুক হিসেবে পরিচয় দেয়। আমি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করলে একপর্যায়ে সে ফোনটি কেটে দেয়। আমার কাছে এটি একটি প্রতারক চক্রের কাজ বলে মনে হয়েছে। এ ধরনের প্রতারক চক্র আগে থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে এমন ফাঁদ পাতে।
নাসিরনগর বিষয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহাগ রানা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়ে নাসিরনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।