স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

পাম তেল হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

পাম গাছ (চধষস ঞৎবব) এক প্রকার বৃক্ষ জাতীয় ফুলেল উদ্ভিদ। পৃথিবীতে বিভিন্ন জাতের ২,৬০০ প্রজাতির পাম গাছ দেখা যায়। এ গাছ থেকে নানাবিধ দ্রব্য পাওয়া যায়। এর জন্য এর ব্যাপক চাষ হয়ে থাকে। পাম গাছ বাংলাদেশের আবহাওয়ার জন্য উপযোগী ও পরিবেশ বান্ধব। পাম ফল থেকে পাম তেল নিষ্কাশন করা হয়।

বাংলাদেশে একটি চার/পাঁচ বৎসর বয়সী পাম গাছ থেকে বছরে ন্যূনপক্ষে ৪০ কেজি পামওয়েল পাওয়া যায়। একটি পাম গাছ থেকে একটানা ২৫/৩০ বছর পর্যন্ত তেল পাওয়া যায়। পাম ফল থেকে পামওয়েল আহরণের সময় যে পুষ্টিসমৃদ্ধ পূর্ণ ব্যবহারযোগ্য বর্জ্য পাওয়া যায়, তাই পামঅয়েল বাগানের সার হিসেবে ব্যবহার হয়। রাসায়নিক, কীটনাশকের ব্যবহার হ্রাস করার জন্য পামওয়েল উদ্ভিদ বালাই নিয়ন্ত্রণের কাজে জৈব পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। পামগাছের পাতা জমিতে সার হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

পামগাছের ১ টন শুকনা পাতা মাটিতে ৭.৫ কেজি নাইট্রোজেন, ১.০৬ কেজি ফসফরাস, ৯.৮১ কেজি পটাসিয়াম ও ২.৭৯ কেজি ম্যাগনেসিয়াম ফিরিয়ে দেয়। এজন্য বলা যায় পাম গাছ পরিবেশের জন্য অত্যন্ত উপকারী ও পরিবেশ বান্ধব।দেশীয় পদ্ধতিতে পাম তেল সংগ্রহ করা সহজ। পাকা পাম ফল সংগ্রহ করে পানিতে সিদ্ধ করা হয়। অতঃপর হাত দ্বারা অথবা গামছা দিয়ে চেপে রস বের করতে হবে। রসের মধ্যে যেহেতু পানির মিশ্রণ থাকে, সেহেতু পানি মিশ্রিত এই রস পাতিলে করে জ্বাল দিতে হবে।

উপকারিতা:

১. পাম তেল রক্তের জমাট বাঁধার প্রবণতা হ্রাস করে।
২. পাম তেল খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়। পাম ফল থেকে যে তেল পাওয়া যায় তা কোলেস্টেরল মুক্ত ভোজ্য তেল। এই তেল ব্যবহারে রক্তের মোট কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে না। তবে ক্ষতিকর এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস পায় এবং উপকারী এইচডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায় ।
৩. পাম তেল ধমনীতে প্লাক গঠনে সহায়তা করে না।
৪. পাম তেল ক্যান্সার রোধে সহায়তা করে।
৫. পাম তেলের জারণরোধী ভূমিকার কারণে পাম তেল দেহের কোষগুলোর বয়ো-বৃদ্ধি প্রক্রিয়া প্রতিহত করে

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button