Thursday, May 9, 2024
Google search engine
Homeঅর্থনীতিবাজুসের ১৫ দফা বাজেট প্রস্তাবনা

বাজুসের ১৫ দফা বাজেট প্রস্তাবনা

আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের জন্য ১৫ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

বুধবার (৩ এপ্রিল) রাজধানীর বসুন্ধরা সিটিতে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়েছে।

বাজুস জানায়, অসম শুল্ক-কর কাঠামো, প্রাথমিক কাঁচামাল ও মেশিনারিজ আমদানিতে কালক্ষেপণ ও অতিরিক্ত শুল্ক ব্যয়, সঠিক নীতিমালার অভাব এই খাতকে দেশীয় অর্থনীতি থেকে পেছনে ঠেলে দিচ্ছে। এসব বিবেচনা করে বাজুস প্রাক বাজেট আলোচনায় প্রস্তাবগুলো দিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বাজুসের সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায়, উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ট্যারিফ অ্যান্ড ট্যাক্সেশনের চেয়ারম্যান ও কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ট্যারিফ অ্যান্ড ট্যাক্সেশনের সদস্য সচিব ও কার্যনির্বাহী সদস্য পবন কুমার আগারওয়াল, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সদস্য সচিব তাসনিম নাজ মোনা উপস্থিত ছিলেন।

বাজুস জানায়, সরকারের সাফল্য যাত্রায় অংশীজন হতে চায় বাজুস। কিন্তু জুয়েলারি শিল্প সম্পর্কিত ‘স্বর্ণ নীতিমালা-(২০১৮) সংশোধিত-২০২১’ সংশোধনের ৩ বছর পরেও বাস্তবায়ন হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বৈধ পথে সোনার বার, কয়েন ও সোনার অলংকার তৈরি ও রফতানিতে উৎসাহ প্রদান করা হবে বলা হলেও, এই খাত সংশ্লিষ্ট কাঁচামাল ও মেশিনারিজ আমদানির ওপর অসম শুল্ক হারের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে স্থানীয় শিল্পের ওপর রয়েছে ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং উদ্যোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে অপরিকল্পিত উৎসে কর হারের বোঝা। অথচ এই খাতটি রপ্তানি আয় ও রাজস্ব আহরণে হতে পারত সরকারের অন্যতম আস্থার খাত।

বাজুসের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, অপরিকল্পিত আমদানি শুল্ক-কর হার, শুল্ক-কর রেয়াত এবং কাঠামোগত শুল্ক ও শিল্পবান্ধব নীতি প্রণয়নে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উদাসীনতা জুয়েলারি শিল্পকে পিছিয়ে দিয়েছে। ফলে ২ লাখ কোটি টাকার স্থানীয় সোনার বাজার দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে সফলভাবে অবদান রাখতে পারছে না।

এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে ১৫টি প্রস্তাব উপস্থাপন করছে বাজুস।

বাজুসের ১৫ দফা প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে –

সোনা-রূপার অলংকার বিক্রিতে আরোপিত ভ্যাট হার কমানো, সকল জুয়েলারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইএফডি মেশিন বসানো, আমদানি শুল্ক, ভ্যাট কমপ্লায়েন্ট শিল্পের জন্য শুল্ক হার কমানো,হীরা কাটিংয়ে শুল্ক হার কমানো, স্বর্ণ পরিশোধনাগার শিল্পে ১০ বছরের জন্য কর অবকাশ সুবিধা, সোনার অলংকার প্রস্তুত করার উদ্দেশ্যে আমদানিকৃত কাঁচামাল ও মেশিনারিজের ক্ষেত্রে শুল্ক করের অব্যাহতি, উৎসে কর থেকে অব্যাহতি, ব্যাগেজ রুল সংশোধনের মাধ্যমে পর্যটকদের মাধ্যমে সোনার বার আনা বন্ধ করা, বৈধভাবে সোনার বার, অলংকার, কয়েন রপ্তানিতে রপ্তানিকারকদের ৫০ শতাংশ আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া,পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে শুল্ক হার সমন্বয়, চোরাচালানের উদ্ধার করা সোনার ২৫ শতাংশ উদ্ধারকারী সংস্থাগুলোর সদস্যদের পুরস্কার হিসেবে প্রদান।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments