দেশে চিকিৎসা ব্যবস্থায় অদৃশ্য সংকট রয়েছে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় আমাদের হাসপাতাল আছে, চিকিৎসকরাও ভালো, তারপরও কোথায় যেন অদৃশ্য সংকট রয়েছে।
তিনি বলেন, এখানে স্বচ্ছভাবে দায়িত্ব পালন খুব চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু এই দায়িত্বটা সম্মিলিতভাবে সবাইকে নিতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন উপলক্ষে এবং সাংগঠনিক বিষয়ে খুলনা বিভাগীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় নিকট অতীতের ইতিহাস সুখকর নয়। গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র আমদানি হয়ে প্যাকেটের মধ্যে পড়ে থাকে, কিন্তু ব্যবহার হয় না। এই ইতিহাস আমাদের আছে। আমার জীবন-মরণ পরিস্থিতে ল্যাব থেকে এনে শেষ মুহূর্তে তা কাজে লাগানো হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কিছু জটিল রোগের জন্য বাইরে যেতে হয়। তাই একটি আধুনিক হাসপাতাল দরকার। জরুরি রোগীর জন্য উপজেলা পর্যায়েও আইসিইউ থাকা দরকার। পদ্মার ওপারে বড় আধুনিক হাসপাতাল করার প্রস্তাব আছে। প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন হলে আপনাদের জানাবো। আমাদের বড় আধুনিক হাসপাতালের বড় প্রয়োজন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যথার্থ ব্যক্তিকে মূল্যায়ন করা— বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা, এটা আমাদের দলের নেতৃত্বের প্রতিচ্ছবি। আমার ধারণা তিনি (স্বাস্থ্যমন্ত্রী) তার যোগ্যতার প্রমাণ দেবেন। আমি মনে করি— স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় নিকট অতীতের ইতিহাস সুখকর নয়।
নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি যখন অসুস্থ হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই, তখন ডা. দেবী শেঠী আমাদের নেত্রীর অনুরোধে এসেছিলেন। তিনি এসে একটা সিদ্ধান্ত দিতে পেরেছিলেন। সিদ্ধান্তটা খুব জরুরি ছিল। সে অনুযায়ী আমাকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, তিন/চার মিনিট বেশি চলে গেলে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ছিল না। এই সিদ্ধান্ত নেয়াটা খুব চ্যালেঞ্জিং। আলী আহসান সাহেবকে যখন দায়িত্ব দেওয়া হলো, তখন তিনি দ্বিধায় ছিলেন বলে পরে শুনেছি। কারণ যদি কোনো অঘটন ঘটে যায় তাহলে তাকে এন্টি আওয়ামী লীগ বানিয়ে ছাড়বে। কারণ তিনি সেভাবে আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না। এসব সমস্যা আমাদের দেশে আছে। তবে তখন অপারেশন করাটা যে সঠিক, ডা. দেবী শেঠি স্বীকৃতি দিয়ে গেছেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন- আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান আ ফ ম রুহুল হক। আরো উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী এবং দলটির স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ও উপ-কমিটির সদস্য সচিব ডা. রোকেয়া সুলতানা।