ঈদে অতিথি আপ্যায়নে করণীয়
ঈদ মানেই খুশি, ঈদ মানেই আনন্দ। আর ঈদের এ খুশি-আনন্দ আরো বহুগুণ বেড়ে যায়, যখন নাকি বাড়িতে মেহমান আসেন। কারণ আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, কাছের মানুষ ছাড়া ঈদের আনন্দ ফিকে হয়ে যায়। আর তাই ঈদের দিনে বাড়িতে অতিথিরা এলে পরিপূর্ণ হয় ঈদ।
ব্যস্তজীবনের ফাঁকে অল্প কিছু সময় সবাই একসঙ্গে থাকেন, আড্ডা দেন। বাড়িতে আগত অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য প্রয়োজন আগাম প্রস্তুতি। তাহলে ঈদের দিন বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হবে না। প্রিয় মানুষদের সঙ্গেও বেশি সময় কাটাতে পারবেন। তাই চলুন জেনে নেয়া যাক ঈদে অতিথি আপ্যায়নে কী করবেন-
সকালের অতিথিদের জন্য মিষ্টি খাবার: সকালে ঈদের নামাজের পর বাড়িতে অতিথিরা আসেন। তাদের জন্য আগেই বসার ঘর গুছিয়ে রাখুন। করোনার প্রকোপ কমলেও এখনও সতর্কতা বজায় রাখা উচিত। তাই অতিথিদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা রাখুন।
এসময় তাদের মিষ্টি খাবার পরিবেশন করুন। কেউ কেউ মিষ্টি খাবার কম পছন্দ করেন। তাদের জন্য চটপটি, কাটলেট বা কাবাবের ব্যবস্থা রাখতে পারেন। ফলের শরবতের ব্যবস্থা রাখুন। ঈদের সকালে ভারী খাবার না রাখাই ভালো। এক মাস রোজা রাখার পর হঠাৎ ভারী খাবার খেলে স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
দুপুরের অতিথিদের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার: আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করবে ঈদের দিন দুপুরে আগত অতিথিদের আপ্যায়ন। গরম থাকলে অতিথি এলে তাকে ফলের শরবত দিন। বৃষ্টি হলে অতিথির স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করুন। ঈদের দিন মজার সব খাবার খাওয়ার চল বহুদিন ধরেই চলে আসছে। পোলাও, রোস্ট, গরুর মাংস যাই আয়োজন করুন না কেন তা যেন পরিমিত তেল-মশলায় রান্না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। কোমল পানীয়ের পরিবর্তে রাখতে পারেন ঘরে তৈরি বোরহানি।
ঈদের বিকেলে অতিথিদের সঙ্গে আড্ডা: ঈদের দিন বিকেল বেলা বাড়িতে অনেক অতিথি আসেন। অতিথি আসার সঙ্গে সঙ্গেই খাবার দেওয়ার তোড়জোড় করবেন না। কিছু সময় তাদের সঙ্গে গল্প করুন, কুশল বিনিময় করুন। এখনই ভেজিটেবল রোল, চিজ বল, কাবাব, চিকেন নাগেটসের মতো খাবারগুলো ফ্রোজেন করে রাখুন। চটজলদি সেগুলো ভেজে অতিথিদের পরিবেশন করুন। চা বা কফি বাড়াতে পারে আড্ডার সৌন্দর্য। পুডিং বা জর্দার মতো হালকা মিষ্টি খাবারও পরিবেশন করতে পারেন।
রাতের বেলা জম্পেশ খাবার: ঈদের রাতে অতিথিরা আসলে তাদের জন্য ভালো খাবারের আয়োজন করার রীতি অনেক বছর ধরেই চলছে। রাতে যারা আসবেন তাদের জন্য ভারী খাবার প্রস্তুত রাখুন। বিরিয়ানি বা কাচ্চি রান্না করতে পারেন। মাংসের ভিন্ন ধরনের কোনো পদ রাখতে পারেন। শেষ পাতের জন্য আয়োজন করতে পারেন দই-মিষ্টির।
আপনি যদি অতিথি হন: ঈদের দিন আপনি নিজেও অন্য কারো বাসায় অতিথি হিসেবে যেতে পারেন। ঈদের আনন্দ বাড়াতে তাদের জন্য কিছু উপহার নিয়ে যেতে পারেন। বাড়িতে ছোট শিশু থাকলে নিতে পারেন চিপস, চকলেট, জুস।