লাইফস্টাইল

ড্রাই আইস সম্পর্কে যা জানতে হবে

ড্রাই আইস বা শুষ্ক বরফ হলো, কার্বন-ডাই-অক্সাইডের কঠিন রূপ। তরল পানির কঠিন রূপ বরফ, সে কারণে কার্বন ডাই অক্সাইডের কঠিন রূপকে শুষ্ক বরফ বলে। অর্থাৎ, বরফ এবং শুষ্ক বরফের মধ্যে পার্থক্য শুধু একটি শব্দের নয়। অভ্যন্তরীণ গুণাগুণে এবং বৈশিষ্ট্যেও কিছুটা পার্থক্য থাকেই।

বিভিন্ন খাবারের প্রণালিতে অহরহ বরফ ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে ঠান্ডা, পানীয় এবং মিষ্টিজাতীয় খাবারে। বরফ শুধু খেতেও কোনো অসুবিধা নেই। তবে, শুষ্ক বরফ খাওয়া কতটা উপকারি, আদৌ কি খাওয়া যায়? বিশেষজ্ঞদের মতে, শুষ্ক বরফ খাওয়া তো দূরে থাক খালি হাতে ধরাও বিপজ্জনক হতে পারে।

খুব কম তাপমাত্রায় গ্যাসীয় কার্বন ডাই অক্সাইডকে রেখে সরাসরি কঠিন রূপ দেওয়া হয়। এ রূপে আনতে ১০৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট (-৭৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপমাত্রার পরিবেশ প্রয়োজন হয়। সাধারণ বরফের মতো এর কোনো তরল অবস্থা থাকে না।

শুষ্ক বরফের ব্যবহার বিভিন্ন ক্ষেত্রে হয়ে থাকে; যেমন-গবেষণা, চিকিৎসা, খাবার ও পানীয়। তবে শুষ্ক বরফের ব্যবহার খুব সাবধানে করতে হয়। এর ব্যবহারের সময় নিম্ন তাপমাত্রার জন্য তৈরি বিশেষ দস্তানা এবং চশমা ব্যবহার করা উচিত।

ডাক্তার মঞ্জুষা আগারওয়াল বলেন, আবদ্ধ স্থানে ড্রাই আইসের ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ, এটি হলো কার্বন-ডাই-অক্সাইডের একটি রূপ। নির্দিষ্ট তাপমাত্রার চেয়ে বেশি তাপমাত্রায় কঠিন অবস্থা থেকে এটি গ্যাসীয় আকারে রূপান্তরিত হতে শুরু করে। আবদ্ধ জায়গায় এমন হতে শুরু করলে অক্সিজেনের প্রাপ্যতা কমার সম্ভাবনা থাকে। এরফলে, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যাও দেখা যেতে পারে।

সম্প্রতি ভারতের গুরুগ্রামের এক রেস্তোয়ায় প্রত্যাশিত দুর্ঘটনা ঘটে। কিছু বন্ধু ‍মিলে খেতে গেলে খাওয়া শেষ হওয়ার পর তাদের মাউথ ফ্রেশনার দেওয়া হয়। তবে,মাউথ ফ্রেশনার ব্যবহারের পরই রেস্তোরার অতিথিরা শারীরিক সমস্যাবোধ করতে শুরু করেন। এর পর্যায়ে তাদের রক্তবমি হওয়া শুরু হয়। আসলে, ব্যবহৃত মাউথ ফ্রেশনারগুলো ছিল মূলত শুষ্ক বরফ বা ড্রাই আইস।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে, ভারতীয় চিকিৎসকরা তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ডাক্তার রাজীব গুপ্তা বলেছেন, অতি নিম্ন তাপমাত্রার হওয়ার কারণে চামড়ার জন্য অনেক ক্ষতিকর। সরাসরি চামড়ার সাথে সংস্পর্শে এলে চোখ জ্বালা, অস্বস্তি ও লাল হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও, ডা রাঙ্গা সসন্তোষ কুমার বলেন,শুষ্ক বরফ খেয়ে ফেললে গুরুতর শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন- মুখ, খাদ্যনালী, পাকস্থলীর অংশকে ঠান্ডায় জমিয়ে ফেলতে পারে

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button