বরগুনায় প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরমে বেড়েছে ফ্যানের কদর, বেড়েছে দাম
সোহাগ হাফিজ,বরগুনা : বেশ কয়েকদিন ধরে সারাদেশের মতো দাবদাহে পুড়ছে বরগুনা ,তীব্র গরমে রীতিমতো ওষ্ঠাগত জনজীবন। বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহে ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস অবস্থার তৈরি হয়েছে।
বিশেষ করে গরমে স্বস্তি পেতে ফ্যান কিনতে আগ্রহী বেশিরভাগ ক্রেতারা। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ কয়েকদিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে প্রতিটি ফ্যানের। অন্যদিকে দোকানিদের দাবি আমদানিকারকরা দাম বাড়ানোর কারণে গত বছরের তুলনায় এ বছর ফ্যানের দাম বেড়েছে।
চাহিদা বাড়ায় বরগুনায় এসব ফ্যানের সংকট তৈরির পাশাপাশি গতবছরের তুলনায় প্রতিটি ফ্যানের মূল্য বেড়েছে আকার ও কোম্পানিভেদে ১০০০ থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত। এতে দাম শুনে অনেকেই না কিনে চলে যাচ্ছেন। আবার অনেকে বাধ্য হয়ে বেশি দামেই কিনছেন। ভিশন, ওয়ালটন, ক্লিক, সানকা, সিঙ্গারসহ নানা ব্র্যান্ডের সিলিং ফ্যান ছোট বড় ও টেবিল ফ্যান ও এছাড়া চার্জার ফ্যান পাওয়া যাচ্ছে এসব দোকানে।
বরগুনার স্থানীয় বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স মার্কেট পণ্যের দোকান ঘুরে দেখা যায়, চার্জার ফ্যান, স্ট্যান্ড ফ্যান, সিলিং ফ্যান কিনতে দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। তবে চার্জার ফ্যানের চাহিদা তুলনামূলক বেশি। বাজারে বর্তমানে চার্জার ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত।
ফ্যান কিনতে আসা নুরুজ্জামান বলেন, একদিকে রৌদ্র ও ভ্যাপসা গরম তারপরে ‘লোডশেডিং বাসায় বাচ্চাকাচ্চা আছে। তাদের জন্যই বাধ্য হয়ে ফ্যান কিনতে এলাম।প্রত্যেকটা পণ্যেরই দাম বেড়ে গেছে। এত দামে কেনা তো আসলে আমাদের মতো নির্ধারিত আয়ের মানুষের জন্য কষ্ট হয়ে যায়।
কথা হয় কামাল মিয়া ও তার স্ত্রী আফরোজার সাথে তারা জানান, ‘গত কয়েকদিনের গরমে করানে পোলা মাইয়া লইয়া রাইতে ঘুমাইতে পারে না। তাই পোলাগ আরামের লাইগ্যা পকেটে ১৫’শ টাকা লইয়া আইছিলাম। কিন্তু দাম তো কমায় না। মনে হয় ফ্যান কিনতে পারুমনা।’ এই বলে সামনে এগিয়ে যান কামাল মিয়া।
ইলেকট্রনিক্সের ব্যবসায়ী জামাল সিকদার বলেন, গরম আসায় স্ট্যান্ড ফ্যান, সিলিং ফ্যান এর পাশাপাশি চার্জার বিক্রি হচ্ছে। তবে কোম্পানি থেকে দাম বাড়ায় আমাদেরকেও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে ফ্যান প্রচুর চাহিদা রয়েছে। সে অনুপাতে সরবরাহ না থাকায় একটু বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই কিছুটা বেশি দামেই বিক্রি করছি।