ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বেলের পাতা
ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ একটি হরমোন সংশ্লিষ্ট রোগ। রক্তে চিনি বা শকর্রার উপস্থিতিজনিত অসামঞ্জস্য দেখা দিলে অর্থাৎ শরীরে ইনসুলিনের ঘাটতিই এ রোগের মূল কথা। তবে ডায়াবেটিস পুরোপুরি নিরাময় অযোগ্য হলেও একে নিয়ন্ত্রণে রাখার নানা উপায় রয়েছে। ডায়াবেটিস রোগে ভেষজ কেমন উপকারী তা নিয়ে চলছে বিস্তর গবেষণা। প্রাচীনকাল থেকেই নানা জটিল অসুখে আয়ুর্বেদিক ভেষজ চিকিৎসা চমৎকার ফলাফল দিচ্ছে।
আয়ুর্বেদিকদের মতে, ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে আয়ুর্বেদের বেশ কয়েকটি ওষুধ রয়েছে যা রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। এদের মধ্যে অন্যতম হলো বেল পাতা। এছাড়া বেল পাতায় রয়েছে কিছু অ্যান্টি ডায়াবেটিক উপাদান। তাই নিয়মিত বেল পাতা চিবিয়ে খেলে ব্লাড সুগারকে অনায়াসে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন। পাশাপাশি যারা সুগার প্রতিরোধ করতে চান, তারাও নিয়মিত বেল পাতা সেবন করুন।
বেল পাতা ছাড়াও কিছু ভেষজ পানীয় রয়েছে যেগুলো আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
চলুন এক নজরে সেগুলো দেখে নেয়া যাক-
১. করলার জুস: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য করলার রস একটি কার্যকরী উপাদান। এই জুস সুগার লেভেল কমাতে সাহায্য করে। করলায় ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি-র সঙ্গে প্রচুর আয়রনও রয়েছে। করলার রসে রয়েছে পলিপেপটাইড-পি, যা ইনসুলিনের মতো কাজ করে এবং শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
২. তরমুজের রস: এটি প্রোটিন, ফাইবার এবং কার্বোহাইড্রেটসহ বিবিধ পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এটি ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি-এর একটি ভালো উৎস। তরমুজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-সমৃদ্ধ এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস-সংক্রান্ত জটিলতা কমাতে সাহায্য করে। এটি ইমিউন সিস্টেমের কার্যকারিতা বাড়ায়, বিপাক ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বকের জন্যও অত্যন্ত উপকার। এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে।
৩. আমলার জুস: সুগারের জন্য খুবই উপকার। আমলা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-সমৃদ্ধ। এটি ক্রোমিয়ামেরও একটি ভালো উৎস। এই খনিজটি কার্বোহাইড্রেট বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে এবং চিনির মাত্রা বৃদ্ধি রোধ করে। আমলার রস হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং হজমে সাহায্য করে। এটি লিভার এবং কিডনির স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
এছাড়া নিয়মিত গাজরের জুস পান করলে সুগার লেভেল বাড়ে না এবং শরীরের জন্য এটি উপকারী। এ ছাড়া গাজরে বিভিন্ন খনিজ, ভিটামিন এবং ক্যারোটিনয়েড রয়েছে, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারে এবং চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। তবে এই জুস অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়।