Saturday, May 11, 2024
Google search engine
Homeচাকরিঅবসরের ৬ মাসের মধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ভাতা সুবিধা প্রদানের নির্দেশ

অবসরের ৬ মাসের মধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ভাতা সুবিধা প্রদানের নির্দেশ

শিক্ষা : এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫ লাখের বেশি শিক্ষক ও কর্মচারীকে ৬ মাসের মধ্যে অবসর ভাতা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই রায় বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন। রায়ে হাইকোর্ট বলেছে, এটা চিরন্তন সত্য যে শিক্ষকরা রিটায়ারমেন্ট বেনিফিট পেতে বছরের পর বছর ঘুরতে হয়। এই হয়রানি থেকে তারা কোনভাবেই পার পান না। একজন প্রাথমিকের শিক্ষক কত টাকা বেতন পান, সেটাও বিবেচনায় নিতে হবে। এজন্য তাদের অবসরভাতা ৬ মাসের মধ্যে দিতে হবে। এই অবসরভাতা পাওয়ার জন্য শিক্ষকরা বছরের পর বছর দ্বারে দ্বারে ঘুরতে পারে না। যেখানে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শিক্ষকদের প্রতি সহানুভূতিশীল।

প্রধানমন্ত্রীর মনোভাব ইতিবাচক দৃষ্টিতে নিয়েই শিক্ষকদের অবসর ভাতা কিভাবে দ্রুত দেওয়া যায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মাথায় রাখতে হবে। এদিকে পাঁচ লক্ষাধিক শিক্ষক ও কর্মচারীর বেতনের ১০ ভাগ কর্তনের বিপরীতে আর্থিক সুবিধা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আদালত বলেছে, দশ ভাগ কর্তন করলে সে পরিমাণ সুবিধা শিক্ষকদের দিতে হবে। একেক সময় একেক ধরনের সিদ্ধান্ত কাম্য নয়। রিটকারীদের পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া রায়ের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট প্রবিধানমালা, ১৯৯৯ এর প্রবিধান-৬ এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা প্রবিধানমালা, ২০০৫ এর প্রবিধান-৮ অনুযায়ী শিক্ষক ও কর্মচারীদের মূল বেতনের ২ ভাগ এবং ৪ ভাগ কর্তনের বিধান ছিল। যার বিপরীতে শিক্ষকদের ট্রাস্টের তহবিল হতে শিক্ষক ও কর্মচারীদের কিছু আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হতো। কিন্তু ২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল উল্লিখিত প্রবিধানমালাগুলোর শিক্ষক ও কর্মচারীদের মূল বেতনের ২ ভাগ এবং ৪ ভাগ কর্তনের বিধানগুলো সংশোধন করে তা ৪ ভাগ এবং ৬ ভাগ করে দুইটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে শিক্ষক ও কর্মচারীদের মূল বেতনের ২ ভাগ এবং ৪ ভাগ কর্তনের পরিবর্তে ৪ ভাগ এবং ৬ ভাগ কর্তনের বিধান করা হলেও উক্ত অতিরিক্ত অর্থ কর্তনের বিপরীতে শিক্ষক ও কর্মচারীদের কোন বাড়তি আর্থিক সুবিধা প্রদানের বিধান করা হয়নি। এই অতিরিক্ত অর্থ কর্তনের বিপরীতে কোন আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধি না করায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় পাঁচ লাখ শিক্ষক ও কর্মচারীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। এই অতিরিক্ত অর্থ কর্তনের আদেশ বাতিলের জন্য শিক্ষক-কর্মচারীরা সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি। পরে শিক্ষকরা মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচী পালন করে।

এতেও কর্তৃপক্ষ নীরব থাকেন। এরপর শিক্ষক ও কর্মচারীগণ ২০১৯ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। প্রাথমিক শুনানি শেষে ওই বছরের ১৫ এপ্রিল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনটি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবেনা তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে। পরে আরেকটি সম্পুরুক আবেদনে ২০১৭ সালে জারি করা দুটি প্রজ্ঞাপানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করলে বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করেন। এসব রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে রায় ঘোষণার জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করে দেয় হাইকোর্ট। আদালতে শিক্ষকদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments