ইফতারের খাদ্যতালিকায় সতর্কতা
সারাদিন রোজা রাখায় শরীরে শক্তির অভাব থাকে। তাই এইসময় এমন খাবার খাওয়া উচিত, যা দ্রুত শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করে। তবে অনেকে ইফতারে ভাজাপোড়া খাবার খেতে পছন্দ করে। আলুর চপ, বেগুনী, পেয়াজু- দিয়ে মুড়ি মাখা না হলে যেন ইফতার জমে না!
সারাদিন না খেয়ে থাকার পর শরীরের জন্য এইসব খাবার একেবারেই উপকারী নয়। কারণ এসব খাবার চর্বি, টেস্টিং সল্ট ছাড়াও অন্যান্য অস্বাস্থ্যকর উপাদানে পূর্ণ। দীর্ঘস্থায়ী নানারকম শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি হয় এসব খাওয়ার কারণে। তাছাড়া হজমেও জটিলতা দেখা যেতে পারে। অনেকে ইফতারে জাংকফুড খেতে পছন্দ করেন। জেনে নিন, যেসব খাবার খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করবেন-
জাংক ফুড: অনেকে সারাবছর শুধু জাংক ফুড খেয়েই অভ্যস্ত থাকেন। তাই রমজানেও সেই অভ্যাস ত্যাগ করতে পারেন না। তবে জাংকফুড স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। যারা এসব খাবার বেশি খান, তাছাড়া ব্যায়াম বা শারীরিক কসরত করেন না; তাদের মধ্যে সাধারণত ওজন বৃদ্ধির সমস্যা বেশি দেখা যায়। জাংকফুডে অনেকগুলো শরীরে ক্ষতিকর খাদ্যউপাদান থাকে। ইফতারে এইসব খাবার একদমই খাওয়া একদমই উচিত নয়। উপরন্তু সারাবছর এইসব খাবার কম পরিমাণ খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
চিনি বা মিষ্টি: রমজানে বেশিরভাগ সময় পানিশূন্যতার সমস্যা দেখা যায়। তাই ইফতারে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হলো পানীয়। সাধারণত শরবতে চিনি ব্যবহার করা হয়। অনেক সময় ইফতারে মিষ্টিজাতীয় খাবারও থাকে। কারণ চিনি খেরে পানিশূন্যতার সমস্যা আরও প্রভাবিত হয়। তাছাড়া মিষ্টিজাতীয় খাবার দ্রুত ক্লান্ত হওয়ার জন্যও দায়ী।
ভাজা ও প্রক্রিয়াজাত করা খাবার: ভাজা খাবারে অনেক বেশি পরিমাণে তেল থাকে। অতিরিক্ত চর্বি গ্যাস্ট্রিক, বদহজম ছাড়াও দীর্ঘস্থায়ী বড় বড় সমস্যার সৃষ্টি করে। বাইরের প্রক্রিয়াজাত করা খাবারও এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ অনেক সময় সেসব অস্বাস্থ্যকর হয়। চর্বি, প্রিজারভেটিভ, সোডিয়াম- ইত্যাদি ক্ষতিকর উপাদান সমৃদ্ধ খাবার ইফতারের সময় একেবারেই খাওয়া উচিত নয়।
বেশি মশলাযুক্ত খাবার: আমাদের দেশে রান্নায় তেল মশলা বেশিন ব্যবহার করা হয়। কিন্তু রোজা শেষে বেশি ঝাল, লবণযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত নয়। গরম আবহাওয়ায় সারাদিন অনাহারে থাকার পর এরকম খাবার অস্বস্তি সৃষ্টি করে। ইফতারের জন্য তৈরি করা খাবার ভেষজ এবং অল্প তেল মশলাযুক্ত হওয়া উচিত।
ক্যাফিনেটেড পানীয়: চা ও কফি দৈনন্দিন জীবনে খুব সাধারণভাবে পান করা হয়। তবে রোজার মাসে এসব সীমিতভাবে পান করাই শ্রেয়। ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় উপবাসের সময় পানির প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর সমস্যা তৈরি করতে পারে। পানিশূন্যতা ছাড়াও, রেচনকার্যেও এগুলো বিরূপ প্রভাব ফেলে। সারাদিন কাজের শক্তি বজায় রাখতে ভেষজ চা বা ফলের রস ও ফল মিশ্রিত পানীয় ভালো কাজ করতে পারে।
তথ্যসূত্র: ওয়াই-টুয়েন্টি ইন্ডিয়া