বাবা আতিকুল্লাহর ফিরে আসার অপেক্ষায় ২ মেয়ে ইয়াশরা-উমাইজা
পবিবারের সবাই বিমর্ষ। কাঁদছেন আতিকুল্লাহ খানের মা। নীরবে চোখের পানি ফেলছেন তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীও। আশপাশের লোকজন বাসায় এসে ভিড় করেছেন। স্বজনদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এ অফিসারের স্ত্রীর মোবাইলে রিং বাজলেই দৌড়ে যায় দুই বোন ইয়াশরা-উমাইজা—এই বুঝি বাবার ফোন এলো। কিন্তু ফোন আর আসে না। বাবার সঙ্গে কথা বলাও হয় না।
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহের চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খানের দুই মেয়ে ইয়াশরা ফাতেমা ও উমাইজা মাহদিন। গত মঙ্গলবার বাবার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাটির পর দুই বোনের চোখে ঘুম নেই। খাদিজা আরবিয়া নামে তাদের আরেকটি ছোট বোন আছে। তবে সে ছোট হওয়ায় দুঃসংবাদের বিষয়টি বোঝে না।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) চট্টগ্রাম নগরীর নন্দনকাননের রথেরপুকুর পাড় এলাকায় আতিকুল্লাহ খানের বাড়ি যেয়ে এ দৃশ্য দেখা গেছে।
দেখা গেছে, পবিবারের সবাই বিমর্ষ। কাঁদছেন আতিকুল্লাহ খানের মা। নীরবে চোখের পানি ফেলছেন তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীও। আশপাশের লোকজন বাসায় এসে ভিড় করেছেন। স্বজনদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এ অফিসারের স্ত্রীর মোবাইলে রিং বাজলেই দুই বোন দৌড়ে যায়—এই বুঝি বাবার ফোন এলো। কিন্তু ফোন আর আসে না। বাবার সঙ্গে কথা বলাও হয় না।
তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ফাতেমা বলেন, আব্বুকে দস্যুরা ধরে নিয়ে গেছে, তার জীবন বিপন্ন। যেকোনো সময় খারাপ কিছু ঘটে যেতে পারে। সেজন্য বাবার জন্য নামাজ পড়ে দোয়া করি।
ফাতেমার চাচা আবদুন নূর আসিফ বলেন, গত চারদিন ধরে বড় দুই বোন বাবার জন্য খুব দুশ্চিন্তা করছে। ঠিকমত খাওয়া-দাওয়া করছে না। জাহাজ জিম্মি হওয়ার সংবাদ জানার পর আমাদেরও দুশ্চিন্তার শেষ নেই।