তাজরীন গার্মেন্টস অগ্নিকাণ্ড: ২২ মাস পর আবারো সাক্ষ্য
ঢাকার আশুলিয়ায় তাজরীন গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ডে ১১১ শ্রমিক নিহতের ঘটনায় করা মামলায় ২২ মাস পর আবারো সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। সর্বশেষ ২০২২ সালের ১৮ মে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। দীর্ঘদিনের সাক্ষী খরা কাটিয়ে সোমবার প্রতিষ্ঠানটির মালিক দেলোয়ার হোসেনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন এস. এম বদরুল আলম নামের এক ব্যক্তি।
ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দিলারা আলো চন্দনার আদালতে সাক্ষী দেন তিনি। এরপর আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন।
মামলায় ১০৪ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত মাত্র ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। এতদিন কোনো সাক্ষী আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় মামলার তারিখ বারবার পেছানো হচ্ছিল।
২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির মালিক, ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক একেএম মহসিনুজ্জামান খান এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
ঘটনার এক বছর ২৮ দিন পর আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তিনি এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- প্রতিষ্ঠানের মালিক দেলোয়ার হোসেন, চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার, শামীম, স্টোর ইনচার্জ (সুতা) আল আমিন, সিকিউরিটি ইনচার্জ আনিসুর রহমান, সিকিউরিটি সুপারভাইজার আল আমিন, স্টোর ইনচার্জ হামিদুল ইসলাম লাভলু, অ্যাডমিন অফিসার দুলাল উদ্দিন, প্রকৌশলী এম মাহবুবুল মোর্শেদ, সিকিউরিটি গার্ড রানা ওরফে আনোয়ারুল, ফ্যাক্টরি ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক, প্রোডাকশন ম্যানেজার মোবারক হোসেন মঞ্জুর ও শহীদুজ্জামান দুলাল।
তবে এ মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে আল আমিন, রানা, শামীম ও মোবারক হোসেন পলাতক রয়েছে। বাকি সব আসামি জামিনে রয়েছেন।
২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তাজরীন গার্মেন্টসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ১১১ জন শ্রমিক আগুনে পুড়ে মারা যান। অন্যদিকে আহত হন আরও ১০৪ গার্মেন্টস শ্রমিক। গার্মেন্টসটিতে সে সময় ১ হাজার ১৬৩ জন শ্রমিক কাজ করতেন কিন্তু দুর্ঘটনার সময় ৯৮৪ জন শ্রমিক সেখানে কর্মরত ছিলেন।