এপ্রিল থেকে ব্যাংক ঋণের সুদহার বাড়িয়ে ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ করা হয়েছে। তবে ভোক্তা ঋণে সুদ গুনতে হবে ১৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
রোববার (৩১ মার্চ) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এখন থেকে ‘স্মার্ট’র সঙ্গে ৩ শতাংশ হারে মার্জিন বা সুদ যোগ হবে, যা এতদিন ছিল ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। আর প্রি-শিপমেন্ট রফতানি ও কৃষি ও পল্লী ঋণের ‘স্মার্ট’ হারের সঙ্গে সর্বোচ্চ ২ দশমিক হারে মার্জিন যোগ হবে। যা আগে ছিল ২ দশমিক ৫০ শতাংশ।
সেই হিসাবে, এপ্রিলে বড় অঙ্কের ঋণে সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ শতাংশ সুদ নিতে পারবে ব্যাংকগুলো। আর প্রি-শিপমেন্ট রফতানি ঋণ এবং কৃষি ও পল্লী ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার হবে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। তবে ব্যক্তিগত ও গাড়ি কেনার ঋণে ব্যাংক সুদ নিতে পারবে ১৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ। কারণ সিএমএসএমই, ব্যক্তিগত ও গাড়ি কেনার ঋণে অতিরিক্ত ১ শতাংশ তদারকি বা সুপারভিশন চার্জ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
এর আগে, ঋণ ও ভোক্তা ঋণের সুদহার মার্চে ছিল যথাক্রমে ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ এবং ১৪ দশমিক ১১ শতাংশ। তার আগে ফেব্রুয়ারিতে ছিল ১২ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং ১৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ। জানুয়ারিতে এই সুদহার ছিল ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং ১২ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
বর্তমানে যে পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে ঋণের সুদহার নির্ধারিত হচ্ছে, তা হলো ‘এসএমএআরটি’ বা ‘স্মার্ট এসএমএআরটি’ বা ‘স্মার্ট’ তথা– সিক্স মান্থ মুভিং এভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল হিসেবে পরিচিত। প্রতি মাসের শুরুতে এই হার জানিয়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
সাধারণত গাড়ি, আবাসন, শিক্ষা, ফ্রিজ, টিভি ও কম্পিউটার ইত্যাদি কেনার জন্য ব্যাংক থেকে ব্যক্তিগত যে ঋণ নেওয়া হয় সেগুলো মূলত ভোত্তা ঋণ।