তিন ফরম্যাটের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসে শ্রীলংকা। টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিকরা ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারের পর ওয়ানডেতে জেতে একই ব্যবধানে। তবে টেস্টে ২-০তে হারতে হয় নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে। সিলেটে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশকে ৩২৮ রানে হারানোর পর চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টে শ্রীলংকা জেতে ১৯২ রানে।
টানা দুই জয়ে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পয়েন্ট তালিকার ৪ নম্বরে উঠে এসেছে শ্রীলংকা। টপকে গেছে পাকিস্তানকেও। অন্যদিকে বাংলাদেশ ৪ থেকে নেমে গেছে পয়েন্ট তালিকার ৭ নম্বরে।
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে শ্রীলংকা এখন পর্যন্ত খেলেছে ৪ ম্যাচ। যেখানে দুই জয়ের বিপরিতে তাদের হার দুটিতে। অর্থাৎ বাংলাদেশ সিরিজের আগে শ্রীলংকার পয়েন্ট ছিল শূন্য। দুটোতেই হেরেছিল তারা। বাংলাদেশের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচ জিতে তাদের পয়েন্ট এখন ৫০ শতাংশ। ৫ ম্যাচে পাকিস্তানের জয় ২টিতে, হার ৩টিতে। তারা পেয়েছে ৩৬.৬৬ শতাংশ পয়েন্ট।
এই চক্রে শ্রীলংকার এখনো ঘরের মাঠে সিরিজ আছে দুটি। চলতি বছরের শেষের দিকে তারা খেলবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, এরপর ২০২৫ সালে তারা খেলবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। এই বছরের আগস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে শ্রীলংকা। সেটা অবশ্য ইংল্যান্ডের মাটিতে।
চলমান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চক্রে বাংলাদেশ টেস্ট খেলেছে ৪টি। শ্রীলংকার বিপক্ষে দুই টেস্টে হারার আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলেছিল তারা। সেই সিরিজের প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। শ্রীলংকা সিরিজের আগে ৫০ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ ছিল চারে। সিলেট ও চট্টগ্রাম টেস্টে হারের পর বাংলাদেশের পয়েন্ট এখন ২৫ শতাংশ। বাংলাদেশ এখন যৌথভাবে সপ্তম স্থানে আছে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে।
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকায় সবার নিচে ইংল্যান্ড। ১১ ম্যাচে তারা জিতেছে মাত্র ৩টিতে। হেরেছে ৭ ম্যাচে, ড্র একটিতে। শতাংশের হিসাবে দলটির পয়েন্ট ১৭.৫০।
