জাতীয়রাজনীতি

বিএনপি-জামায়াতের নেতারা দুর্বৃত্তদের নেতা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিভিন্ন সময় বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে যে আগুন সন্ত্রাস হয়েছে এবং তারা এখনো ওত পেতে বসে আছেন। তাদের নেতারা হচ্ছেন দুর্বৃত্তদের নেতা। তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হ‌বে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন নেতা অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান শামীমের মৃত্যুতে আয়োজিত স্মরণ সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যারা রাজনীতির নামে আগুন সন্ত্রাস করে, রাজনীতির নামে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করতে পারে, তাদের এই দেশে রাজনীতি করার অধিকার থাকতে পারে না। এরা রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত, রাজনীতিবিদ নয়। তাদের যারা আর্থিক সহায়তা দেয়, নেতৃত্ব দেয়, তারা দুর্বৃত্তদের নেতা।

মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডের কোনো ঘটনা যেন আর না ঘটে, সে জন্য সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আসলে বাংলাদেশে অগ্নিনির্বাপণের জন্য ঘর-বাড়িতে এবং বিশেষ করে রেস্টুরেন্টগুলোতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রাখা হয় না। আপনারা জানেন ঢাকা শহরে যথাযথ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকার কারণে অনেকগুলো রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যেন এই ধরনের অগ্নিকাণ্ড আর না ঘটে।

তি‌নি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ফায়ার সার্ভিসকে কিন্তু ঢেলে সাজিয়েছেন। আমরা যখন সরকার গঠন করি ২০০৯ সালে, তখন দেশের মাত্র ৪০টা উপজেলায় ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ছিল। এখন প্রত্যেকটা উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন আছে। এটা একটা বিরাট অগ্রগতি। ফায়ার সার্ভিসে আগে ২০ তলায় উঠতে গিয়ে ফায়ার ফাইটিং করার ব্যবস্থা ছিল না। এখন ২০ তলা বা আরো উঁচু ভবনে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ফায়ার ফাইটিং করতে পারে। তাদের সেভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এমনকি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যেন আকাশ থেকেও অগ্নিনির্বাপণ করতে পারে সে জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কিন্তু সবশেষে যেটি প্রয়োজন সেটি হলো মানুষের সচেতনতা। মানুষের সচেতনতার যদি অভাব থাকে তাহলে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেও অগ্নিনির্বাপণ করা সম্ভব নয়।

সাপ্তাহিক গণবাংলার প্রধান উপদেষ্টা এম এ করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপ‌স্থিত ছি‌লেন- সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, প্রয়াত আতাউর রহমানের কন্যা ফারদিন রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য উপ-কমিটির সদস্য মশিউর আহমেদ, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির চেয়ারম্যান মো. সুমন সরদার ও মহাসচিব এম এ বাশার প্রমুখ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button