দুই ম্যাচ ঝলক দেখিয়েই ছিটকে গেলেন এই গতি তারকা
চলছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৭তম আসর। যেখানে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের হয়ে দুই ম্যাচ খেলেই রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছিলেন মায়াঙ্ক যাদব। তবে নিজের তৃতীয় ম্যাচেই বড় ধাক্কা খেয়েছেন এই পেসার।
এবারের আইপিএলে দুই ম্যাচে ৮ ওভার বল করেন মায়াঙ্ক। এর মধ্যেই ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটারের বেশি গতির ডেলিভারি। তাতে নিজের প্রথম দুই ম্যাচেই হয়েছেন সেরা।
তবে আলোচিত তরুণ পেসার মায়াঙ্ক তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেই পেলেন চোট। রোববার গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষেও সবার নজর ছিলো মায়াঙ্কের দিকে। লখনৌয়ের ১৬৩ রান সামাল দিতে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে বল হাতে পান মায়াঙ্ক। কিন্তু এবার ভুগতে থাকেন তিনি।
ওভারটিতে মায়াঙ্ক পর্যাপ্ত গতি তুলতে পারেননি, উল্টো হজম করেন তিন বাউন্ডারি। এরপর ম্যাচে আর বল করা হয়নি তার। খেলার মাঝে সাইড স্ট্রেনের চোটে মাঠ ছাড়েন ২১ বছর বয়সী এই ডানহাতি পেসার।
তীব্র গতি আর দারণ নিয়ন্ত্রণে ব্যাটারদের আতঙ্কের কারণ হওয়া মায়াঙ্ক দুই ম্যাচ দিয়েই ভারতের জাতীয় দলের আলোচনায় চলে এসেছিলেন। তবে চোট তাকে দিল অস্বস্তি।
মায়াঙ্কের চোট সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি লখনৌ সুপার জায়ান্টস। তবে ম্যাচ শেষে ক্রুনাল পান্ডিয়া বলেন, ‘আমি জানি না মায়াঙ্কের নির্দিষ্টভাবে কি হয়েছে। কিন্তু কয়েক মুহূর্ত তার সঙ্গে থাকা হয়েছে ঐ সময়। আমার ধারণা সে ঠিক আছে আগামী ম্যাচগুলোর জন্য। এটা আমাদের জন্য ইতিবাচক খবর।’
তিনি আরো বলেন, ‘গত মৌসুমে চোটের পড়ার আগেও দারুণ ছিলো নেটে। তার সঙ্গে যতটা আমার কথা হয়েছে, তাকে যতটা দেখেছি। তার মাথা খুব পরিষ্কার। তার ক্যারিয়ার কীভাবে এগোবে তা দেখতে রোমাঞ্চ নিয়ে অপেক্ষায় আছি।’
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের নিলামে ২০ লাখ রুপিতে মায়াঙ্ককে দলে নেয় লখনৌ। তবে চোটের কারণে ২০২৩ সালের আইপিএলে খেলা হয়নি তার। এবার পুরো ফিট অবস্থায় নেমে সেরা ছন্দ দেখাতে থাকেন তিনি। দুই ম্যাচে গতির ঝড়ে নেন ৬ উইকেট। তবে তৃতীয় ম্যাচে পাওয়া চোটটা তাকে শেষ পর্যন্ত রাখল অনিশ্চয়তার মধ্যে।