সরকার শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ: কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সরকার শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
সোমবার ঢাকার উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সের নুরুল কাদের অডিটরিয়ামে আহত, অসুস্থ শ্রমিক ও শ্রমিকদের পরিবারের চিকিৎসা এবং তাদের মেধাবী সন্তানদের উচ্চ শিক্ষার জন্য আর্থিক সহায়তর চেক হন্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দকেন্দ্রীয় তহবিল’ থেকে শতভাগ রফতানিমুখী শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকগণ কারখানায় কমরত থাকাকালীন দুর্ঘটনা ও স্বাভাবিক মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ, অসুস্থ শ্রমিককে চিকিৎসা সহায়তা, তাদের মেধাবী সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান, প্রয়োজনে বন্ধ কারখানার শ্রমিকদের বকেয়া বেতন-ভাতাদি পরিশোধ এবং অগ্নি দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিকদের কল্যাণে এ পর্যন্ত ২৫৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। উপকারভোগী এ শ্রমিকদের সংখ্যা ৩২ হাজার ৬৮৬ জন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কর্মক্ষেত্রে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার শিকার হয় স্থায়ীভাবে অক্ষম হওয়া বা মৃত্যুবরণকারী শ্রমিক বা তাদের উপযুক্ত উত্তরাধিকারী বা পোষ্যকে পেনশন সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে ২০২২ সালের জুন মাসে চালু হয়েছ “এমপ্লয়মেন্ট ইনজুরি স্কিম”।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব হোসেন এবং বিকেএমইএ এর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। এছাড়াও কেন্দ্রীয় তহবিলের মহাপরিচালক ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন এনডিসি, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং বিজিএমইএ এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও বক্তব্য দেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বিজিএমইএ এর প্রেসিডেন্ট এস এম মান্নান (কচি)।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী তিন হাজার আটশ ষাট জনের মাঝে ষোল কোটি বাহাত্তর লক্ষ তেষট্টি হাজার টাকার আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ করেন। উল্লেখ্য, প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে শ্রমিকদের কল্যাণ ও সুরক্ষার জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, যার মাধ্যমে শ্রমিকের সহায়তা, কমরত অবস্থায় মৃত শ্রমিকের পরিবারকে সহায়তা এবং শ্রমিকের সন্তানের শিক্ষা সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে এ পর্যন্ত ৩০২৮৫ জন গরীব/দুস্থ শ্রমিক ও শ্রমিক পরিবারকে ১৪১ কোটি ৬৬ লাখ টাকার সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।