স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

হাসনাহেনার আছে ভেষজ গুণ

সুগন্ধিফুলের রাজ্যের রাণী যেন হাসনাহেনা ফুল। এ ফুলের সাধারণত পাঁচটি পাপড়ি হয়। ফুলের রং সাদা। ফুলটি বাড়ির উঠোনের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে সেই সাথে সারা বাড়ি গন্ধে মাত করে রাখে এ ফুল। শীতের মৌসুম ছাড়া সারা বছরই এ ফুল দেখতে পাওয়া যায়। তবে গ্রীষ্ম ও বর্ষায় বেশি ফোটে।

হাসনাহেনা লতানো ধরণের ঝোপাল গাছ। এর বৈজ্ঞানিক নাম ঈবংঃৎঁস হড়পঃঁৎহঁস। এটি ঝড়ষধহধপবধব পরিবারের অন্তভূক্ত। ইংরেজিতে এর অনেকগুলি নাম। নামগুলি হল ষধফু ড়ভ ঃযব হরমযঃ, হরমযঃ-নষড়ড়সরহম লবংংধসরহব, হরমযঃ-ংপবহঃবফ লবংংধসরহব, হরমযঃ-ংপবহঃবফ পবংঃৎঁস অথবা ঢ়ড়রংড়হনবৎৎু। এই ফুলটি ওয়েষ্ট ইন্ডিজের স্থানীয়, তবে দক্ষিণ এশিয়ার প্রাকৃতিক পরিবেশে এটি বেশ মানিয়ে নিয়েছে। এই গাছের পাতা লম্বাটে, ১৪.৪ থেকে ৩-৪ সেমি, মসৃণ। পাতার গোড়া বা ডালের ও আগায় ফুলের ছোট ছোট থোকা, সন্ধ্যায় ফোটে ও সুগন্ধ ছড়ায়। ফল গোল ও সাদা হয়ে থাকে। লোক মুখে শোনা যায় হাসনাহেনা গাছ যে বাড়িতে থাকে সে বাড়িতে সাপ আসে। এই কথাটার কোনো ভিত্তি নেই। সর্বোপরি সৌন্দর্যবর্ধন, সুগন্ধিময় একটি ফুলগাছ হাসনাহেনা। হাসনাহেনা ফুলের যেমন সুগন্ধ ও সৌন্দর্য্য রয়েছে তেমনি এর কিছু গুণাগুণ ও উপকারিতা রয়েছে।

গুণাগুণ ও উপকারিতা

১। ক্রিমি রক্তাভ হলে হাসনাহেনা গাছের পাতার রস নিয়ে অল্প গরম করে সেবন করলে ক্রিমিতে উপকার পাওয়া যায়।
২। হাসনাহেনা পাতা থেঁতো করে কাঁচা দুধের সাথে মিশিয়ে একটু উষ্ণ করে সেবন করলে রক্ত আমাশয়ে উপকার পাওয়া যায়।
৩। হাসনাহেনা পাতার রস এবং নারকেলের দুধ ভালো করে মিশিয়ে কয়েকদিন সকালে সেবন করলে স্তন্যদাত্রী মায়েদের উপকার হয়।
৪। হাসনাহেনার পাতা থেঁতো করে এই রস খেলে প্রসাব পরিষ্কার হবে ও যন্ত্রণা থাকবে না।
৫। হাসনাহেনা গাছের মূল রস করে সেবন করলে জ্বর দ্রুত ভালো হয়।
৬। হাসনাহেনা ফুল থেকে সুগন্ধী আতর উৎপাদন হয় যা মানুষের শরীর ও মনের ক্লান্তি এবং স্ট্রেস দূর করতে বিরাট কার্যকর।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button