গাজায় ত্রাণ পাঠাল প্রবাসী বাংলাদেশিরা
নির্যাতিত অসহায় গাজাবাসীর কাছে ত্রাণ পাঠিয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ৬ষ্ঠ দফায় এবার দুই হাজার টন ত্রাণ পাঠানো হয়েছে।
‘আল-আজহার চ্যারেটি ফান্ড বাইতুজ জাকাত অ্যান্ড সাদাকাত ফাউন্ডেশন’ এর আগে পাঁচ দফায় প্রায় পাঁচ হাজার টন ত্রাণ পাঠায়। সেখানে ছিল ওষুধ, খাবার, পানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যবহারিক জিনিসপত্র।
পূর্বের মতো ৬ষ্ঠ দফা ত্রাণ বহরে এবারও গেছে লাল সবুজের পতাকার সঙ্গে বিভিন্ন চ্যারেটি ফান্ড ও সংস্থার ব্যানার টানানো ৮টি লরি। লাল সবুজের পতাকা টানানো প্রতি লরিতে সর্বমোট ৪৫ লাখ টাকা মূল্যের ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকার ওষুধ ও ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনুদানে ভর্তি এসব লরির মধ্যে ছিল জরুরি ওষুধ, খাবার ও বিশুদ্ধ পানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যবহারিক জিনিস। এটি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের পাঠানো সর্ববৃহৎ ত্রাণ বহর।
মিশর বাইতুজ জাকাত অ্যান্ড সাদাকাত ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা যায়, এবার বাংলাদেশি ত্রাণের লরির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩টি। তন্মধ্যে ৮টি লরি যাচ্ছে ৬ষ্ঠ দফায় এবং বাকিগুলো ঈদের আগেই ৭ম দফায় গাজায় পাঠানো হবে।
আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ভাষা অনুষদে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী ও ওয়ার্ল্ড ওয়ান উম্মাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হুজাইফা খান বলেন, আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত একঝাঁক তরুণ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর নিরলস প্রচেষ্টায় এবারের ষষ্ঠ দফায়ও বাংলাদেশি জনগণের পক্ষ থেকে পাঠানো বিভিন্ন লোগো সংবলিত ব্যানারে ওয়ার্ল্ড ওয়ান উম্মাহ ফাউন্ডেশনের নেতৃত্বে বাইতুজ জাকাত অ্যান্ড সাদাকাত ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মোট আটটি লরি ভর্তি ত্রাণ পাঠানো হয়েছে গাজায়।
এসব অনুদান আল আজহারে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত উদ্যোগ, স্বেচ্ছাশ্রম এবং তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের একাধিক বেসরকারি সেবা সংস্থা, মিশরের বাংলাদেশি ছাত্র সংগঠনগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল।